আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২২ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ‘খায়বার’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের ১০টি স্থানে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান। তেল আবিবসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
📍 প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হলো ‘খায়বার’ ক্ষেপণাস্ত্র
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রথমবার ইরান তার সর্বশেষ প্রজন্মের মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র খায়বার ব্যবহার করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে খোররামশহর-৪ নামে পরিচিত এবং এটি ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত।
পাল্লা: প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার
ওয়ারহেড: ১,৫০০ কেজি
গতিবেগ: বায়ুমণ্ডলের বাইরে ম্যাক ১৬ (শব্দের গতির ১৬ গুণ)
নির্ভুলতা: উন্নত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও গতিপথ সামঞ্জস্য ক্ষমতা
বিরোধিতা প্রতিরক্ষা: প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিরোধ করা কঠিন
📍 ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, সামরিক কেন্দ্র লক্ষবস্তু
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ এর আওতায় এই হামলা চালানো হয়। এতে ইসরায়েলের সামরিক ও প্রতিরক্ষা কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে।
ইসরায়েল পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না এলেও বেসরকারিভাবে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় অপারেশনাল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
📍 আগুন জ্বালিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’
এর আগে গত ১৩ জুন রাতে অপারেশন রাইজিং লায়ন নামের অভিযানে ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরান, নাতাঞ্জ, ইস্পাহান ও অন্যান্য স্থানে বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানের ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরাও।
📍 উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সরাসরি প্রবেশ’
২১ জুন রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পরমাণু স্থাপনায় সরাসরি হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যেটিকে অনেকেই যুদ্ধের আন্তর্জাতিকীকরণ হিসেবে দেখছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন সংঘাত শুধুমাত্র ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি বৃহত্তর এক আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক শক্তিধর রাষ্ট্র জড়িত হয়ে পড়েছে।