সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় হাসাকা প্রদেশে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। কাসরুক এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে, তবে এখনো হামলার ধরন বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত নিশ্চিত নয়।
ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ও সতর্কতা
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ সোমবার (২৩ জুন) জানায়, হঠাৎ করেই ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যার পরপরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে মার্কিন সেনারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পরপরই ঘাঁটির আকাশে ড্রোন ও সামরিক হেলিকপ্টারের টহল বাড়ানো হয়।
সন্দেহ ও সতর্ক প্রতিক্রিয়া
হামলার পেছনে কারা রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে চালানো হয়ে থাকতে পারে। এসব গোষ্ঠী এর আগেও সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর একাধিকবার রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ
এই ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—বরং ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনার একটি ধারাবাহিক প্রতিফলন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটির ওপর এ ধরনের হামলা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।
পূর্বপ্রেক্ষাপট
১৩ জুন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের মধ্যে সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরাও ছিলেন।
পাল্টা জবাবে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’ চালু করে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটির ওপর হামলাটি ঘটলো, যা মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা আরও ঘনীভূত করেছে।
