ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নজিরবিহীন হামলার পর দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এক কঠোর বার্তা দিয়েছে। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইআরজিসি’র মুখপাত্র ইব্রাহিম জোলফাঘারি বলেছেন,
“যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেছে এবং ইরানের পবিত্র মাটিতে আঘাত হেনেছে। এর ফল ভয়াবহ হবে।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,
“ট্রাম্প, জুয়ারি! আপনি যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, কিন্তু শেষ করব আমরা।”
মার্কিন অভিযানের বিস্তারিত
শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামের এক অভিযানে ইরানের ফরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি বিমান হামলা চালায়। এতে অংশ নেয় মোট ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ছিল
- ৭টি স্টেলথ বি-২ বোমারু বিমান,
- একাধিক জ্বালানি ট্যাংকার,
- নজরদারি ও সহায়ক বিমান,
- এবং আকাশে এফ-১৫ ও এফ-২২ যুদ্ধবিমান।
এই অভিযানের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন,
“ফরদো ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি ইরান শান্তির পথে না আসে, তাহলে আরও হামলা হবে।”
প্রেক্ষাপট
এই হামলার আগে ইসরায়েল ১৩ জুন রাতে ইরানে হামলা চালায়, যার পর ইরান পাল্টা আঘাত হানে ইসরায়েলে। ইরান এই হামলাগুলোকে ‘আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, তারা শুধু নিজের ভূখণ্ড রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আইআরজিসি’র এই হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যদি পরবর্তী হামলার পথে অগ্রসর হয়, তাহলে ইরানের প্রতিক্রিয়া শুধু সরাসরি পাল্টা আঘাতেই সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে—বরং এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে সিরিয়া, ইরাক, লেবানন বা ইয়েমেনের মতো অঞ্চলেও, যেখানে ইরানের প্রভাবশালী মিত্রগোষ্ঠীগুলো সক্রিয় রয়েছে।
