যুদ্ধে অচল থাকার মুখে ইরানের সঙ্গে স্থগিত হলো ইসরায়েল-ইরান সংঘাত, তবে গাজার উপরিপারিণতি কোনো শান্তির বার্তা বহন করছে না। আলজাজিরার বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর থেকেই গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
ইয়াহর লাপিদ, ইসরায়েলের প্রধান বিরোধী নেতা, সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানিয়েছেন—“এবার গাজার যুদ্ধও শেষ হওয়ার সময় এসেছে। বন্দিদের ফিরিয়ে দাও!” তবে ঘটনার ভয়াবহতা দাবি করে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে বর্তমানে অব্দি গাজায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫৬ হাজার। আহত হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৪২ জন, এখনও বহু মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
আইনি বিচারের পথে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ন্যায়বিচার চেয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে আইসিসিআই (ICC) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়া যুদ্ধের ভয়াবহতায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও চলছে মামলা।
প্রেক্ষাপট:
- গাজায় চলমান সংঘাতের পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে স্থাপিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবে কোনো শান্তির আভাস দেয়নি।
- ইস্রায়েল প্রচার করে এসেছে যুদ্ধবিরতি সৌদি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন শান্তির সূচনা—but গাজায় আদৌ এমন পরিবেশ নেই।
- আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন নিরুপায়দের জন্য উদ্বেগ বাড়ছে—নিরীহ মানুষ আরও নিরাপত্তাহত, জীবন আগের থেকে নিরাপদ নয়।
পরবর্তী অপেক্ষা:
- গাজার নিরস্ত্রীকরণ ও যুদ্ধবিরতি বাস্তবে কার্যকর হবে?
- আইসিসিআই এর মামলা অনুজায়ী ন্যায়বিচার বাস্তবায়িত হবে?
- মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে বিশ্ব সম্প্রদায় কতটা সক্রিয় হবে?
বিশ্বের করুণতম সংকটদুঃখ এখানে জমেছে গাজার মাটি, যেখানে নির্দোষ মানুষের রক্তে লেখা হচ্ছে যুদ্ধের এক অপার্থিব অধ্যায়।