মার্কিন বিমান হামলার পরেও ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (DIA) প্রাথমিক মূল্যায়নে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছিলেন, হামলায় ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ‘সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে। তবে CNN-এর সঙ্গে DIA মূল্যায়নের সঙ্গে পরিচিত একাধিক সূত্র বলছে, বাস্তবতা ভিন্ন।
তাদের মতে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ফোরদো ও নাতাঞ্জে অবস্থিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো। মার্কিন B-2 বোমারু বিমানগুলো এক ডজনেরও বেশি ভারী বোমা নিক্ষেপ করলেও, মূল সেন্ট্রিফিউজ ও সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ প্রায় অক্ষত রয়ে গেছে।
DIA-এর মূল্যায়নে বলা হয়েছে, এই হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ কয়েক মাস পিছিয়ে দিতে পেরেছে—এর বেশি কিছু নয়।
হোয়াইট হাউস এই মূল্যায়নের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক বিবৃতিতে এই তথ্য ফাঁসকে “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেয় করার চেষ্টা” বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “যখন ৩০,০০০ পাউন্ড বোমা ফেলা হয়, তখন সেগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংসই আনে।”
এদিকে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরান দাবি করেছে, এই জবাবেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পথে যেতে বাধ্য হয়।