রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে তানিয়া আক্তার (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ছরোয়ার মন্ডলের বাড়ির একটি ঘরের ওয়ারড্রব থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তানিয়া বরিশালের বন্দর থানার রায়পুরা গ্রামের দুলাল সরদারের মেয়ে। তিনি এক বছর ধরে দৌলতদিয়ার ওই বাড়িতে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় এটি ওয়ারড্রবের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সহকর্মীদের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত তানিয়া অন্যান্যদের সঙ্গে কথাবার্তা বললেও এরপর তাকে আর দেখা যায়নি। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর সন্দেহ হলে যৌনকর্মীরা বাড়ির মালিক সরোয়ার মন্ডলকে খবর দেন। পরে তালা ভেঙে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
তানিয়ার ভাই বশির সরদার অভিযোগ করে বলেন, “আমি শুনেছি আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটা এখনো জানি না।”
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) মো. শরীফ আল রাজীব প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে জানান, তানিয়াকে মোবাইল চার্জারের তার দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, হত্যার কারণ ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
