কুমিল্লার মুরাদনগরে এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। এর আগে শুক্রবার ধর্ষণের শিকার ২৫ বছর বয়সী ওই নারী মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার বিবরণ:
জানা গেছে, মূল অভিযুক্ত ফজর আলী ভুক্তভোগী নারীর পারিবারিক পরিচিত। তার সঙ্গে টেলিফোনে কয়েকবার কথোপকথনের সুযোগে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে ওই নারী বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ফজর আলী ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের সময় প্রতিবেশীর নজরে পড়লে স্থানীয়রা ফজর আলীকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের স্থানীয় ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমন একদল সহযোগী নিয়ে এসে নির্যাতিত নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ ওঠে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে:
১. মোহাম্মদ আলী সুমন – রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি
২. রমজান আলী
৩. মো. অনিক
৪. মো. আরিফ
৫. ফজর আলী – ধর্ষণের প্রধান অভিযুক্ত
তাদের মধ্যে ফজর আলীকে রবিবার ভোরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় মুরাদনগর থেকেই।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা:
সুমন ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সভাপতি এবং অন্য তিনজন তার সহযোগী। ধর্ষণের অভিযুক্ত ফজর আলীর পুরনো একটি ছবি একটি আওয়ামী লীগ মিছিলে দেখা গেছে। যদিও স্থানীয় বিএনপি বলছে, তিনি তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ:
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।