রাঙ্গাবালীতে কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, প্রেম ও পারিবারিক বিরোধের অভিযোগ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নে এক কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি চিৎকাররত এক কিশোরীকে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে, তার হাত ও পা বাঁধা। ভিডিওটি তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

এই ভিডিও আপলোড করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা কামাল গাজী। তিনি দাবি করেন, ভিডিওতে দেখা যাওয়া কিশোরী তার স্ত্রী এবং তাকে পরিবারের লোকজন জোরপূর্বক নিয়ে যাচ্ছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “আমার বউকে মেরে হাত-পা বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

পুলিশের ব্যাখ্যা

পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর সঙ্গে কামাল গাজীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তিনি তার বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ২৮ জুন রাতে পরিবারের লোকজন তাকে কামালের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তখনই ভিডিওটি ধারণ করা হয়।

পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, “এটি মূলত একটি পারিবারিক ঘটনা। এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারৎ হোসেন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও কিশোরীর পরিবারের সম্মতি ছিল না। ঘটনার পর এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

প্রশাসনের আহ্বান

সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিকর বা উস্কানিমূলক তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

Scroll to Top