মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস চারজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকা থেকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সহায়তায় চারটি কফিন তাদের হাতে পৌঁছায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব কফিনে নিহত বন্দীদের মরদেহ রয়েছে। পরে কফিনগুলো তেল আবিবের আবু কাবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়, যেখানে মরদেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গাই ইলোজ, ইয়োসি শারাবি, বিপিন জোশি এবং ড্যানিয়েল পেরেজের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। এর মধ্যে ড্যানিয়েল পেরেজ (২২) ছিলেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক প্লাটুন কমান্ডার, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হন। গাই ইলোজ সংগীত উৎসব থেকে অপহৃত হয়ে গাজায় মারা যান, আর ইয়োসি শারাবি ছিলেন কিব্বুতজ বেইরি থেকে অপহৃত এক বন্দী। বিপিন জোশি নেপালের এক কৃষি শিক্ষার্থী, যিনি ইসরায়েলে অধ্যয়নরত অবস্থায় নিখোঁজ হন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, হামাস অস্ত্রবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে—কারণ তারা প্রতিশ্রুত সব মরদেহ ফেরত দেয়নি। এখনো ২৪ জন নিহত বন্দীর ভাগ্য অজানা বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
এর আগে সোমবারই হামাস তাদের হাতে থাকা শেষ ২০ জন জীবিত জিম্মিকেও মুক্তি দেয়। এই উদ্যোগকে অনেকে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা আংশিক প্রত্যাহার এবং উপত্যকার ভবিষ্যৎ বিষয়ে সম্ভাব্য আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।
ইসরায়েলের চ্যানেল–১২ জানায়, আরও এক বন্দী তামির নিমরোদির মৃত্যুর খবর তার পরিবারকে জানানো হয়েছে, যদিও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা মোট ২০ জন জীবিত ও ২৮ জন নিহত জিম্মির মরদেহ ফেরত পাওয়ার আশা করছেন।
