গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে ভুয়া ছবি ও তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ, প্রেস উইংয়ের সত্য প্রতিকার

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কিছু সামাজিক মাধ্যম চক্র পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের একাধিক অ্যাকাউন্ট সংঘর্ষ নিয়ে মনগড়া পোস্ট ছড়িয়েছে, যা বাস্তবতা বিকৃত করে। এগুলোর মধ্যে আছে আহত কিশোরকে বহন করা, বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি চালানো, হাসপাতালে আহতদের ছবি এবং শিশুদের সহিংসতায় অংশ নেওয়ার দাবি। তবে ফ্যাক্ট চেকে দেখা গেছে, এসব ছবি ভিন্ন সময় ও স্থানে তোলা হয়েছিল—যেমন নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর বা ২০২৩ ও ২০২৪ সালের অন্য ঘটনার।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব পোস্টে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে জনমতকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্য ছিল। বিশেষ করে, একাংশের পোস্টে ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) শিশুর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না।

প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে, আসল ঘটনা হলো, গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করলে পরিস্থিতি দ্রুত তীব্র সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত চারজন নিহত হন, পুলিশের গাড়ি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।

বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ছবি ও তথ্য ছড়িয়ে জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে।

Scroll to Top