বিশ্ব দ্রুত নগরায়ণের পথে এগোচ্ছে। শহরগুলো এখন জনসংখ্যা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ইউএন-ওয়ার্ল্ড হ্যাবিট্যাট ও অন্যান্য সূত্র অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বের ২০টি সর্বাধিক জনবহুল শহরের মধ্যে ঢাকা চতুর্থ স্থানে আছে, জনসংখ্যা প্রায় ২৪.৬ মিলিয়ন। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
শীর্ষ স্থানগুলো এশিয়ার আধিপত্যে
- টোকিও, জাপান: বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর, ৩৭ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করছে। আধুনিক অবকাঠামো, প্রাচীন মন্দির এবং সুশৃঙ্খল গণপরিবহন এটিকে শীর্ষে রাখছে।
- নয়াদিল্লি, ভারত: জনসংখ্যা ৩৪.৬ মিলিয়ন। দ্রুত নগরায়ণের পাশাপাশি প্রাচীন ঐতিহ্য বজায় রেখেছে।
- সাংহাই, চীন: ৩০.৪ মিলিয়ন মানুষের বসবাস, চীনের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি কেন্দ্র।
- ঢাকা, বাংলাদেশ: ২৪.৬ মিলিয়ন জনসংখ্যা। পোশাকশিল্প ও অন্যান্য খাতের জন্য মানুষের স্রোত শহরটিকে বর্ধিত করেছে।
অন্যান্য এশীয় শহরগুলো:
- মুম্বাই, ভারত: ২২ মিলিয়ন
- ওসাকা, জাপান: ১৮.৯ মিলিয়ন
- গুয়াংঝু, চীন: ১৮.২ মিলিয়ন
- করাচি, পাকিস্তান: ১৮.১ মিলিয়ন
- কলকাতা, ভারত: ১৫.৮ মিলিয়ন
- ম্যানিলা, ফিলিপাইন: ১৫.২ মিলিয়ন
- তিয়ানজিন, চীন: ১৪.৭ মিলিয়ন
অন্য মহাদেশের মেগা শহর:
- মিসর: কায়রো (২৩ মিলিয়ন)
- দক্ষিণ আমেরিকা: সাও পাওলো (২২.৯ মিলিয়ন), বুয়েনস এইরেস (১৫.৮ মিলিয়ন)
- উত্তর আমেরিকা: মেক্সিকো সিটি (২২.৭ মিলিয়ন)
- আফ্রিকা: কিনশাসা (১৭.৮ মিলিয়ন), লাগোস (১৭.২ মিলিয়ন)
- ইউরোপ: ইস্তাম্বুল, তুরস্ক (১৬.২ মিলিয়ন)
জাতিসংঘের অনুমান, ২০২৫ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮.২ বিলিয়নে পৌঁছাবে এবং ২০৫০ সালে তা ৯.৭ বিলিয়ন হবে। বর্তমানে এক-চতুর্থাংশ মানুষ এমন শহরে বাস করছে, যেখানে জনসংখ্যা সর্বাধিক বা তার কাছাকাছি। ভারতের জনসংখ্যা ১.৪২ বিলিয়ন, চীনের চেয়ে বেশি।
এই মেগা শহরগুলো শুধুমাত্র জনসংখ্যার দিক থেকে নয়, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও মানব জীবনের গতিশীলতার উদাহরণ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।
