ইরানের সর্বোচ্চ আইনপ্রণেতা ও পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ-বাকের কালিবাফ সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে জনগণের ঐক্য ও প্রতিরোধের প্রশংসা করে বলেছেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র যেকোনো নতুন হামলার জবাবে প্রস্তুত এবং “হাত এখনো ট্রিগারে”।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) তিনি এই বার্তা দেন, যখন ইসরায়েল ১২ দিনব্যাপী আগ্রাসনের পর একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। কালিবাফ বলেন, “শত্রুর সবচেয়ে বড় পরাজয় ছিল ইরানি জনগণের সামনে তাদের সম্পূর্ণ হতাশা।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানি জাতি আধুনিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে। বিশ্বকে তারা দেশপ্রেম, ঐক্য এবং সাহসিকতার পাঠ শিখিয়েছে।”
কালিবাফের মতে, এই ঐক্য ও প্রতিরোধ ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির পথে ঠেলে দিয়েছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ছিল অন্তত ২২টি প্রতিশোধমূলক হামলা। এসব অভিযানে উন্নত মাল্টি-ওয়ারহেড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহৃত হয়।
প্রেস টিভির তথ্য অনুযায়ী, এই চূড়ান্ত সামরিক প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল প্রবল চাপে পড়ে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। যুদ্ধবিরতির পরও ইরান সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন কালিবাফ।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রস্তুত এবং ট্রিগারে আঙুল আছে— প্রয়োজন হলে প্রতিক্রিয়া জানাতে এক মুহূর্তও দেরি করা হবে না।”
এই বার্তা একদিকে যেমন দেশের জনগণের মনোবল বাড়িয়েছে, তেমনি শত্রু পক্ষের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছে— ইরান এখন আর পিছিয়ে থাকা রাষ্ট্র নয়, বরং হিসাব-নিকাশ করে জবাব দিতে সক্ষম একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র।