ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তাপে ট্রাম্পের নীরবতা: যুদ্ধ নাকি কূটনীতি?

ইরান ও ইসরায়েলের টানা সাত দিনের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে—ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন। তবে হোয়াইট হাউস এখনো জানায়নি, তারা সরাসরি এই সংঘাতে জড়াবে কি না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

ট্রাম্প বললেন: “আমি কী করব, কেউ জানে না”
স্থানীয় সময় ১৮ জুন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন,

“আমি কী করব, তা কেউ জানে না। আমি করতে পারি, আবার না-ও করতে পারি।”

তিনি জানান, ইরান আলোচনায় আসতে চায়—এবং দেশটির কিছু ‘গুরুতর সমস্যা’ আছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেননি তিনি।

যুদ্ধের সিদ্ধান্ত আসবে ‘শেষ মুহূর্তে’
ওভাল অফিসে জুভেন্টাস ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ট্রাম্প বলেন,

“যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি দ্রুত বদলায়। তাই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত।”

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ চান না, কিন্তু যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি চলে আসে, তাহলে “যুক্তরাষ্ট্র চুপ করে থাকবে না।”

গোয়েন্দা প্রধানের মতবিরোধ
ট্রাম্প যখন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযুক্ত করছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড কংগ্রেসে জানিয়েছেন,

“ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে না।”

তবে পরে তিনি নিজের বক্তব্য কিছুটা সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের ভাষার সঙ্গে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করেন।

হামলার আগে জানতেন ট্রাম্প
১৩ জুন ইসরায়েল যে হামলা চালায়, তাতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ বিজ্ঞানী ও সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সেই হামলার আগেই অবগত ছিলেন এবং এতে তার সমর্থনও ছিল।

এই হামলার পরপরই ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান পারমাণবিক আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে।

Scroll to Top