তেহরান, ২১ জুন ২০২৫:
ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের রাজধানী তেহরানে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এক বিশাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) জুমার নামাজ শেষে তেহরানের রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ, হাতে ব্যানার, পতাকা ও ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান নিয়ে। এই বিক্ষোভকে ‘জাতির সাহসিকতার প্রতিফলন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে খামেনি বলেন,
“আমাদের প্রিয় জাতি সাহসিকতার সঙ্গে তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে।”
হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ কোডনামে ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আবাসন লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। জবাবে ইরান চালায় ‘অপারেশন দ্য প্রমিজ থ্রি’, যার মাধ্যমে তারা ইসরায়েলের সামরিক অবস্থানে পাল্টা আঘাত হানে।
এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় এবং আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানালেও, ইসরায়েল ও ইরান কোনো পক্ষই আপাতত পিছু হটার ইঙ্গিত দিচ্ছে না।
জনগণের প্রতিক্রিয়া
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেক ইরানি বলেন, ইসরায়েলের হামলা কেবল ইরানের নিরাপত্তা নয়, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধেও সরাসরি চ্যালেঞ্জ। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও সমর্থনকেও তীব্রভাবে সমালোচনা করেন।
বিশ্লেষণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিক্ষোভ শুধু একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং এটি ইরানিদের জাতীয়তাবোধ, প্রতিরোধের মনোভাব এবং আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে দেশের অবস্থানকে প্রকাশ করে। একই সঙ্গে খামেনির বিবৃতি দেশজ জনমতকে আরও একত্রিত করার কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে।