আব্দুর রহমান আলিফ: “সোনার অনুভূতি এখন অতীত, চোখ সামনে নতুন লক্ষ্যে”
সাক্ষাৎকার সংক্ষেপে:
🥇 সোনা জয় ও ভবিষ্যতের লক্ষ্য
সোনা জয়ের অনুভূতি পেছনে ফেলে আলিফ এখন প্রস্তুত হচ্ছেন আগস্টের যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য।
পাশাপাশি সামনেই তাঁর এইচএসসি পরীক্ষা, পড়াশোনাতেও ভালো ফলের আশা করছেন (লক্ষ্য ৪.০০ পয়েন্টের আশপাশে)।
🏹 আর্চারিতে ধাপে ধাপে এগোনোর কথা
অলিম্পিকে এক দিনে কেউ সোনা জিততে পারে না — এই উপলব্ধি নিয়ে তিনি বললেন, “সবকিছু ধাপে ধাপে হয়”।
কিম উ জিনের পথ অনুসরণ করেই ধাপে ধাপে উন্নতি করতে চান।
🔧 ধারাবাহিকতা ও সহযোগিতা
পারফরম্যান্স ধরে রাখতে সবচেয়ে বেশি দরকার কোচদের সহযোগিতা ও প্রেরণা।
নিজের চেষ্টা থাকলেও একা সাফল্য সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।
⚽→🏹 আর্চারিতে যাত্রার শুরু
ফুটবলই ছিল প্রথম ভালোবাসা, কিন্তু পায়ে চোটের কারণে ছেড়ে দিতে হয়।
বিকেএসপির নুরে আলম স্যারের অনুপ্রেরণায় আর্চারিতে উঠে আসা।
📉 চলতি পথে হতাশা ও প্রত্যাবর্তন
একসময় মনে হয়েছিল আর্চারি ছেড়ে দেবেন। পারফরম্যান্স খারাপ হলে কেউ পাশে থাকে না—এই অভিজ্ঞতা তাঁকে কষ্ট দেয়।
তবে যাঁরা খারাপ সময়ে পাশে ছিলেন, পদকটি তাঁদের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
🥇 সিঙ্গাপুরে সোনা জয়ের ভাবনা ছিল না
সোনা জয় স্বপ্নেও ছিল না। লক্ষ্য ছিল দলীয় সাফল্য ও ব্যক্তিগত পদক অর্জন।
🏢 ফেডারেশনের প্রতি প্রত্যাশা
ফেডারেশনের কাছে চাওয়া: আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক অংশগ্রহণের সুযোগ।
ভারতীয় দলগুলোর মতো বেশি খেলোয়াড় পাঠানোর আহ্বান জানান।
💸 আর্থিক ও সামাজিক বাস্তবতা
তিনি স্বীকার করেন, আর্চারিতে আর্থিক সাফল্য সীমিত, তবে যারা ভালো খেলেন, তারা ভালো থাকেন।
🇺🇸 বিদেশ যাওয়ার চিন্তা নেই
রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীর মতো যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ইচ্ছা নেই।
বাবা-মা এবং নিজের দেশের মাটিতে থেকেই ক্যারিয়ার গড়তে চান।
🗣️ রোমান সানার পরামর্শ
রোমান সানা বলেছিলেন: “বাংলাদেশে রুপার কোনো মূল্য নেই, সোনা জিততে হবে”।
রুপা জেতার পর যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছিল, তা আলিফকে কষ্ট দিয়েছিল।