কাঁচামরিচের কেজি ১০ টাকা

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে কাঁচামরিচের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে চরম দরপতনের কারণে চাষিরা পড়েছেন বিপাকে। শুক্রবার শহরের আধুনিক সবজি বাজার ও কাঁচামালের আড়তে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে মিলছে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে। আর কৃষকরা তা বিক্রি করছেন ৬-৭ টাকা কেজি দামে, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম।

উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের মরিচচাষি জোবায়ের রহমান জানান, “বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৭ টাকায়। অথচ খেত থেকে মরিচ তুলতেই শ্রমিকের মজুরি লাগে ৭-৮ টাকা কেজিপ্রতি। এছাড়া বাজারজাত করতে কেজিপ্রতি খরচ হচ্ছে আরও ২-৩ টাকা। সব মিলে প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা লোকসান হচ্ছে।”

কেন এমন পরিস্থিতি?

  • ভালো আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন বেড়েছে
  • চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।
  • প্রযুক্তিনির্ভর সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় মরিচ বাজারে আসার পরপরই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।
  • সরকারি সহায়তা বা ন্যায্য মূল্যের গ্যারান্টি না থাকায় কৃষক ক্ষতির মুখে।

কৃষকদের দাবি

চাষিদের মতে, উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। সরকার যদি মূল্য নির্ধারণ করে ন্যায্য হারে কিনে নেয় বা সংরক্ষণের সুযোগ তৈরি করে, তাহলে চাষিরা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

প্রস্তাবনা

  • কাঁচামরিচ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার বা শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপন।
  • কৃষক পর্যায়ে ভর্তুকিমূল্যে পরিবহন ও বাজারজাতকরণ সহায়তা
  • সরকারি পর্যায়ে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ ও বাজার মনিটরিং।

চাষিদের মতে, “আমরা শুধু চাই, আমাদের কষ্টের ফসল যেন লোকসানে না বিক্রি হয়।” মরিচের মাঠে হাসি থাকলেও বাজারে আছে হতাশা—এই বৈপরীত্য যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয়, এমনটাই প্রত্যাশা সৈয়দপুরের কৃষকদের।

Scroll to Top