গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সেনা সদর দফতরের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। তবে, এই অভিযানে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহৃত হয়নি বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢাকার সেনা সদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টির সভাকে কেন্দ্র করে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তাতে অনেকের প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বলপ্রয়োগ করা হয়, কিন্তু কোনো পক্ষকে আলাদাভাবে লক্ষ্য করা হয়নি।”
তিনি জানান, ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সেখান থেকে প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্নেল শফিকুল আরও বলেন, “সকল বাহিনীকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকরভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সেনাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত চার সপ্তাহে সেনাবাহিনী ৩৭টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং ১৬ হাজারের বেশি অপরাধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিযান এবং রাজধানীর দিয়াবাড়িতে প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, “সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নির্দেশনা পেলে জাতীয় নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তবে এখনই নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।”