যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে কম্বোডিয়া সরকার। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী সান চানথোল শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাজধানী নমপেনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী শান্তি ও দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সাম্প্রতিক বিরোধ নিরসনে তাঁর মধ্যস্থতামূলক ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।”
এমন মনোনয়ন আগে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংগঠন দিলেও, এবারই প্রথম কোনও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করল।
নেতানিয়াহু ও আসিম মুনিরের পর ট্রাম্পের পক্ষে কম্বোডিয়া
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির—উভয়েই ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন।
বিশেষত ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’-এর মতো শান্তিচুক্তিগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন,
“আমি জানি, আমি নোবেল পাব না। কিন্তু মানুষ দেখছে আমি কী করেছি। সেটাই আমার জন্য যথেষ্ট।”
কিভাবে কাজ করে নোবেল মনোনয়ন প্রক্রিয়া?
নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন প্রক্রিয়া গোপনীয়। বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রপ্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পুরস্কারজয়ী ব্যক্তিবর্গ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থরা এই মনোনয়ন দিতে পারেন। মনোনয়ন জমা পড়ে নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে, যারা যাচাই-বাছাই শেষে তৈরি করে সংক্ষিপ্ত তালিকা। এরপর নরওয়ের পার্লামেন্টের মাধ্যমে গৃহীত হয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
প্রতি বছর অক্টোবর মাসে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং ১০ ডিসেম্বর দেওয়া হয় পুরস্কার।