ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
তিনি বলেন,
“এখন সংঘাত আরও গভীর ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। এই সংকটের একমাত্র যৌক্তিক পথ হচ্ছে কূটনৈতিক সমাধান।”
স্টারমার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতোমধ্যে একাধিকবার আলোচনার পর তারা দ্বিপাক্ষিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—আলোচনাই হতে হবে অগ্রাধিকার।
কূটনীতির মাঠে ব্রিটেন
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসবেন।
মতপার্থক্যের ইঙ্গিত?
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে হামলার দিকে এগোয়, তবে তা ইউরোপ-আমেরিকা মিত্রতার মধ্যে ফাটল ধরাতে পারে। যুক্তরাজ্য প্রকাশ্যে সংঘাত পরিহারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিচ্ছে।
সামনে কী?
পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা নির্ধারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বড় পরাশক্তিগুলোর কূটনৈতিক বার্তা ও পারস্পরিক যোগাযোগই হয়তো নির্ধারণ করে দেবে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভবিষ্যৎ।