ফুঁসছে ইরান, টার্গেট মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটি! Copied from: https://rtvonline.com/

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২২ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে ইরানে মার্কিন বোমাবর্ষণের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান। হামলার জবাবে এবার মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো হতে পারে ইরানের পাল্টা প্রতিশোধের প্রধান লক্ষ্য—এমনটাই হুঁশিয়ার করেছেন দেশটির শীর্ষ নেতৃত্ব।

গত শনিবার (২১ জুন) রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পরপরই এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ অভিযানে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ দাবি করেন।

💬 “যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর আর কোনো স্থান থাকবে না”—ইরানি উপদেষ্টা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়াতি বলেন,

“এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সামরিক ঘাঁটির আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। যারা এই হামলায় সহযোগিতা করেছে, তারাও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে।”

🛡 আইআরজিসির হুমকি: ঘাঁটির স্থান চিহ্নিত

হামলার পর ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) এক বিবৃতিতে জানায়,

“আমরা আগ্রাসনের উৎস চিহ্নিত করেছি। পাল্টা জবাব নির্ধারিত সময়েই দেওয়া হবে।”

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেমন ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, জর্ডান, সৌদি আরব ও সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।

📌 প্রেক্ষাপট: ২০২০ সালের সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড

এতদিনে সবচেয়ে বড় সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছিল ২০২০ সালে, যখন ইরাকের আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই হামলা ছিল কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ।


🔍 বিশ্লেষণ

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্র-ইরান-ইসরায়েল ত্রিমুখী সংঘাতকে আরও বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি এতে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ ও জ্বালানির বিশ্ববাজারেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Scroll to Top