ইসরায়েলকে ঘিরে রয়েছে বিস্তৃত আশ্রয়কেন্দ্রের নেটওয়র্ক—মিসাইল বা হামলা শুরু হলে যা নাগরিকদের অস্থায়ী নিরাপত্তা দিতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলায় প্রকাশ পেয়েছে যে এই নিরাপত্তার বলয় সমানভাবে সবাইকে ঘিরে রাখতে পারছে না। বিশেষ করে, উত্তর ইসরায়েলের অনেক ফিলিস্তিনি শহর রয়েছে যা কার্যত আশ্রয়কেন্দ্র সুবিধাবঞ্চিত।
বিবিসির উত্তর ইসরায়েল প্রতিবেদক লোন ওয়েলস বলছেন, “আমি ছিলাম হাইফার কাছে তামরা শহরে, যখন হামলার সতর্কতা দিতে অ্যালার্ম বাজতে শুরু করে। সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো সরকারি কেন্দ্র নেই।”
ওয়েলস আরও জানান, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা অস্থায়ী একটা আশ্রয়ে জড়ো হন—যেটিতে রয়েছে অনেক জানালা ও দুর্বল দেওয়াল, যা যে কোনো বিস্ফোরণে অনায়াসে গুঁড়িয়ে যেতে পারে। অল্প দূরেই রয়েছে সেই ঘরটি যা শনিবারের হামলায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই ঘরেই পরিবারের চারজন আরব-ইসরায়েলি সদস্য প্রাণ হারান।
“আবার যদি এখানে হামলা হয়, এই দুর্বল ঘরটি ও এর আশ্রয়প্রার্থীরা সম্পূর্ণ অরক্ষিত থাকবে”—বলেন ওয়েলস। তিনি আরও বলেন, “চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছিল, ঘরটি কেঁপে উঠছিল। পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত ছিল—কেউ দোয়া পড়ছিল, আবার অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছে ও অপরকে জড়িয়ে ধরে স্বান্ত্বনা খুঁজেছে।”
সংবাদদাতা ওয়েলস উল্লেখ করেছিলেন যে সেখানে অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতা প্রবল। পরিবারের সদস্যরা যেমন স্বজন হারাচ্ছেন, অপর দিকে আশেপাশের ঘরগুলোও অরক্ষিত ও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, যা অল্পতেই নতুন হামলায় নিশ্চিহ्न হতে পারে।
২০২৪ সালের ‘ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউট’-এর প্রতিবেদন বলেছে, দেশটির অরব বসতিতে উপযুক্ত আশ্রয় নেই প্রায় অর্ধেক পরিবারের। অর্থাৎ, ৪৬ শতাংশ অরব পরিবারের ঘরগুলোতে নেই নিরাপদ আশ্রয়কক্ষ। অপর দিকে, সমগ্র দেশের ২৬ শতাংশ মানুষ রয়েছে অনুরূপ নিরাপত্তাহীন পরিবेशে।