ভুল সংবাদের প্রবণতায় শীর্ষে ‘প্রথম আলো’, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকা, ২৯ জুন: দেশের গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ প্রকাশের প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এক সাম্প্রতিক গবেষণায়। ভুল বা ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে তা পরে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হওয়া গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দৈনিক প্রথম আলো। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে দৈনিক কালবেলা এবং দৈনিক ইত্তেফাক

শনিবার সকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত এক সেমিনারে এই গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘ইব্লিক্ট’ প্রকল্পের পরামর্শক মমুনুর রশীদ

‘ভাইরাল’ হওয়ার দৌড়ে সত্যের বিলুপ্তি

গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের শিক্ষার্থী-গণঅভ্যুত্থান-এর পর থেকে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য বা ভিত্তিহীন সংবাদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি দেশের পরিচিত মূলধারার সংবাদপত্রগুলিও এ থেকে মুক্ত নয়।

গবেষকদের মতে, অনেক গণমাধ্যম এখন সত্যবস্তুনিষ্ঠতার চেয়ে ‘ভাইরাল’ হওয়ার যোগ্য সংবাদকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এর ফলে জনগণের কাছে গণমাধ্যমের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

‘ভুয়া সংবাদ তথ্যের অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে’

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ বলেন, “মানুষ এখন সত্য তথ্যের চেয়ে উত্তেজনাকর খবরের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। এই কারণে অনেক গণমাধ্যম আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া সংবাদ প্রচার করছে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভুল ও ভিত্তিহীন সংবাদ শুধু জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে না, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকেও হুমকির মুখে ফেলছে।”

গবেষণাপত্রের সুপারিশে বলা হয়েছে, সাংবাদিকতা পেশায় নৈতিকতা ও তথ্য যাচাইয়ের চর্চা জোরদার না হলে গণমাধ্যমের উপর থেকে মানুষের আস্থা এক সময় পুরোপুরি উঠে যেতে পারে।

Scroll to Top