মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই: ইরানের দিকে রওনা মার্কিন রণতরী ইউএসএস ফোর্ড

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘনীভূত হওয়ায় মার্কিন সামরিক তৎপরতা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের অবস্থান আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয় করেছে তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো এবং মোতায়েন করছে একের পর এক রণতরী।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেবে। প্রায় ১,১০০ ফুট দীর্ঘ এই যুদ্ধজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এবং এটি অঞ্চলটিতে মোতায়েন হতে যাওয়া তৃতীয় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী।

সম্ভাব্য ইঙ্গিত: যুদ্ধ প্রস্তুতি?
সিএনএনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যাকারি কোহেন জানাচ্ছেন, মূলত ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই রণতরীটি আগেই ভূমধ্যসাগরে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার পটভূমিতে এখন এটি সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে কেবল প্রতিরক্ষামূলক হিসেবে দেখার সুযোগ কম। বরং এটিকে ইঙ্গিতপূর্ণ সামরিক প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকে, কারণ এই মোতায়েন ইরানের ওপর সম্ভাব্য হামলার ইঙ্গিতও দিতে পারে।

তৃতীয় রণতরী মোতায়েন
ইউএসএস ফোর্ড যুক্ত হচ্ছে আরও দুটি রণতরীর সঙ্গে:

ইউএসএস কার্ল ভিনসন, যা ইতোমধ্যেই পারস্য উপসাগরে মোতায়েন রয়েছে।

ইউএসএস নিমিৎজ, যেটিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে দ্রুত ওই অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নৌঘাঁটি ত্যাগ করছে যুদ্ধজাহাজ
এছাড়া বাহরাইনে অবস্থিত একটি মার্কিন নৌঘাঁটি থেকেও আরও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি মধ্যপ্রাচ্যের চারপাশে আরও ঘনীভূত সামরিক অবস্থানের অংশ।

Scroll to Top