🎯 ঘটনার সারাংশ:
১৩ জুন: ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায়।
পরবর্তী সপ্তাহ: ইরান ও ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়ায়।
২০ জুন: যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি যুক্ত হয়ে নাতানজ, ইসফাহান ও ফোরদো-তে হামলা চালায়।
📢 ইরানের প্রতিক্রিয়া:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—“ইরান জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের সামনে এখন তিনটি মূল কৌশল:
নীরব থাকা: কূটনীতির সুযোগ রাখা, তবে দুর্বলতা প্রকাশ।
তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ: সামরিক শক্তির প্রমাণ, কিন্তু বিপরীতে মার্কিন পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি।
সময় নিয়ে পাল্টা হামলা: কৌশলী ও প্রতীক্ষিত, তবে প্রতিপক্ষকে ধোঁকা দেওয়ার মতো প্রভাবশালী।
📉 ইরানের সামরিক ও কৌশলগত চ্যালেঞ্জ:
বেশিরভাগ বিশ্লেষকের মতে, ইরান এবং ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ (হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি, ইরাকের গোষ্ঠী) বর্তমানে দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু।
তবে ইরান এখনও ব্যালিস্টিক মিসাইল, ড্রোন প্রযুক্তি এবং সমুদ্রপথে আঘাত হানার সক্ষমতা ধরে রেখেছে।
🌍 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ঝুঁকি:
🇺🇸 যুক্তরাষ্ট্র:
ট্রাম্পের নেতৃত্বে হামলার নীতি স্পষ্ট: প্রিভেন্টিভ স্ট্রাইক।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি ‘দীর্ঘ ও অপ্রত্যাশিত যুদ্ধ’-এর মুখোমুখি।
🇮🇱 ইসরায়েল:
নেতানিয়াহুর বিজয়ের দাবি, তবে সুরক্ষিত হয়নি—ভবিষ্যতের ঝুঁকি বেড়েছে।
🌐 আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ:
“ইরান হয়তো এবার সত্যিই পরমাণু অস্ত্রে ঝুঁকবে।”
— ত্রিতা পারসি (Quincy Institute)
⚛️ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কি ধ্বংস?
না।
আলি হার্ব বলছেন, বাস্তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়তো সীমিত।
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম হয়তো আগে থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর প্রমাণ নেই।
⏳ ফলে: কর্মসূচি হয়তো কিছুটা পিছিয়েছে, কিন্তু শেষ হয়নি। বরং এটি আরও গোপন হবে।
💣 ভবিষ্যৎ সম্ভাব্যতা ও পরমাণু বিস্তার ঝুঁকি:
“যখন পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুটি দেশ একটি নিরস্ত্র দেশকে আক্রমণ করে, তখন অন্যদের কাছে নিরাপত্তার একমাত্র নিশ্চয়তা হয়ে ওঠে পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা।”
— ত্রিতা পারসি
📌 ফলাফল হতে পারে:
মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের নতুন দৌড়।
এনপিটি (NPT) নিরর্থক হয়ে পড়তে পারে।
ইরান ৫–১০ বছরের মধ্যে পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।
✅ শেষ কথা:
যুক্তরাষ্ট্র জেনেশুনে এমন একটি আগুনের সূত্রপাত করেছে যার পরিণাম তার হাতে নেই।
ইরান নিজেকে দুর্বল প্রমাণ না করেই কৌশলে সময় নিতে পারে অথবা সরাসরি প্রতিশোধের পথে হাঁটতে পারে।
বিশ্ববাসী এখন দাঁড়িয়ে আছে আরেকটি বড় যুদ্ধ বা দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা শুরুর দ্বারপ্রান্তে।