লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ছাত্রদল নেত্রীর মরদেহ ৪ দিন পর উদ্ধার

তারিখ:

  • নিখোঁজ: ১৭ জুন, ২০২৫
  • মরদেহ উদ্ধার: ২১ জুন, ২০২৫
  • দাফন: ২২ জুন, ২০২৫

🧕 ভুক্তভোগী পরিচয়:

  • নাম: সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা
  • শিক্ষা: ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী
  • রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা: কলেজ ছাত্রদলের নেত্রী ও আসন্ন কাউন্সিলের পদপ্রার্থী

📅 ঘটনার সময়রেখা:

  • ১৭ জুন সকাল: ইপ্সিতা বাসা থেকে ‘প্রাইভেট পড়াতে যাচ্ছেন’ বলে বের হন। তারপর আর ফিরে আসেননি।
  • ১৮ জুন: তার বাবা ভোলা সদর মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
  • ১৭ জুন দুপুর: কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে এক তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেন বলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়।
  • ২১ জুন: লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে একটি নারীর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
  • ২২ জুন: পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন সম্পন্ন হয়।
  • পরবর্তীতে: ভোলা থানা ও পরিবার মরদেহ শনাক্ত করে জানায়—এটি ইপ্সিতার মরদেহ।

🚢 লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার বর্ণনা (লঞ্চ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য):

  • লঞ্চ: কর্ণফুলী-৪
  • রুট: ভোলা (ইলিশা ঘাট) → ঢাকা
  • তৃতীয় তলা থেকে ঝাঁপ: সকাল সোয়া ১০টার পর
  • তৎক্ষণিক পদক্ষেপ: লাইফবয়া ফেলা ও উদ্ধার চেষ্টা; কিন্তু সফল হয়নি
  • ১ ঘণ্টা পর: কোস্টগার্ডকে জানিয়ে লঞ্চ যাত্রা পুনরায় শুরু করে

📞 ৯৯৯ অভিযোগ:

  • এক নারী যাত্রী ফোন করে অভিযোগ করেন, এক তরুণী লঞ্চে ধর্ষণের শিকার হয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন।
  • পুলিশ লঞ্চের দুই স্টাফ ও অভিযোগকারী নারীকে প্রাথমিকভাবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
  • কোনো অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

👪 পরিবারের অবস্থান:

  • কারও বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ আনেননি।
  • ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জোর দাবি জানিয়েছেন।

🧠 জনমনে প্রশ্ন ও সংশয়:

  • এটি পরিকল্পিত হত্যা, না ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা?
  • ৯৯৯-এর অভিযোগকে কেন গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করা হয়নি?
  • কেন লঞ্চের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়নি বা সেগুলোর খবর জানা যায়নি?
  • মরদেহ সনাক্তের আগে কেন তড়িঘড়ি করে দাফন করা হলো?

🧾 সারাংশ:

এই মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য রয়ে গেছে। ইপ্সিতা ছিলেন একজন রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নারী শিক্ষার্থী, যিনি নিখোঁজের কয়েক দিনের মধ্যে নদীতে ভেসে পাওয়া গেলেন। যদিও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের প্রাথমিক বক্তব্যে ধর্ষণের তথ্য অস্বীকার করা হয়েছে, তবুও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

Scroll to Top