দুই পক্ষের সংঘাতের গ্রায়মিয়াকে পেছনে ফেলে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার একদিনের মধ্যেই এসেছে শান্তিবিরতির ঘোষণা। তবে এই যুদ্ধবিরতি শান্তির চেয়ে কৌশলগত বিরতি মনে হয়।
⚡ যুদ্ধবিরতির আগে যুদ্ধক্ষেপ:
- ২১ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও ড্রোন হামলায় ইরানের ফুরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানে।
- মার্কিন প্রতিরক্ষা শাসন ব্যাঙ্ক ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ চালানো হয়, সঙ্গে ছিল ১৪ হাজার কেজির ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা ও ১২৫টি যুদ্ধবিমান।
🇮🇷 পাল্টা আক্রমণ ও উত্তেজনা:
- সোমবার রাতে, ইরান কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তৎক্ষণাৎ “সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি” হয়েছে।
- কিন্তু ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি তা অস্বীকার করে বলেন, “যুদ্ধবিরতিতে চুক্তি হয়নি”।
🗣️ ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক অবস্থান:
- বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় শান্তিবিরতির খবর নিশ্চিত করে।
- বিবৃতি জানায়: নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, তবে লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
- জানানো হয়, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় সমস্ত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে।
🕊️ শান্তি নাকি ছদ্মবিরতি?
- ইরান–ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজিত পরিস্থিতিতে এসেছে আংশিক যুদ্ধবিরতি, যা সমঝোতার চেয়ে যুদ্ধের পরবর্তী বিশ্রাম ঘন্টা মনে হয়।
- উভয় পক্ষের বিন্দু সংরক্ষণ মনোভাব, ঠাণ্ডা মাথায় যুদ্ধ থামানোর কৌশল, এবং পরবর্তী বিজয়ের প্রস্তুতি তৈরি হচ্ছে এ থেকে।