ঢাকা, ২১ জুন:
‘সবার ওপরে দেশ’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি (বিআরপি) নামের একটি নতুন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে।
দলটির সভাপতি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মো. মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) মো. রাজিবুল হাসান। বিআরপির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন সেলিম প্রধান, যিনি অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে আলোচিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আনাসের মা সানজিদা খান দীপ্তি, যিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় কমিটি
দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাঈদ আলী সিকদার। সহসভাপতি হিসেবে রয়েছেন ক্যাপ্টেন (অব.) শফিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ইমরান, মো. আয়াজ আহমেদ, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন এবং মো. বায়েজিদ।
বিআরপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খান, সাজ্জাদ হোসেন ইউনুস ও মো. আহসানুল্লাহ।
সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর (অব.) রাকিবুল হাসান ও মঞ্জুর হোসেন।
আইনবিষয়ক সম্পাদক অলিদ আহমেদ, নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক আনিকা তাসনীম খান, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সম্পাদক মেজর (অব.) শাহেদুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য সহসম্পাদক সৌরভ চন্দ্র মজুমদারসহ আরও অনেকে আছেন দলের বিভিন্ন পদে।
দলের লক্ষ্য ও চেতনা
দলের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন,
“আমরা ভোটের রাজনীতি নয়, জনগণের রাজনীতি করতে এসেছি। আমরা বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি চাই। দিল্লিপন্থী, পিন্ডিপন্থী বা নিউইয়র্কপন্থী নই।”
দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ইউনুস।
তিনি বলেন,
“ঐতিহাসিক ’৪৭, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে বিআরপি প্রতিষ্ঠা করেছি।”
ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়,
“জুলাই আন্দোলনে প্রায় ২ হাজার মানুষ শহীদ ও ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। সেই আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় এই দল গঠিত হয়েছে।”
পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনৈতিক অবস্থান
বিআরপি নিজেদের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে এবং দলটি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও মর্যাদাভিত্তিক সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।