ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান হামলার সময় হোয়াইট হাউসে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ‘সিচুয়েশন রুমে’ বসেই তিনি পুরো সামরিক অভিযান সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সিচুয়েশন রুমে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
হামলার সময়কার ছবি হোয়াইট হাউস ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোতে দেখা গেছে—উদ্বিগ্ন ও মনোযোগী ভঙ্গিতে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছেন।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ভাষণে তিনি বলেন,
“ইরানের সামনে এখন দুটি পথ—একটি শান্তির, অন্যটি বিপর্যয়ের। আমাদের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ছিল প্রতিরোধমূলক ও সতর্কবার্তা—যা গত ১০ দিনের ঘটনার ধারাবাহিকতা ছাড়িয়ে যেতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে তার পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে একটি কড়া বার্তা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
একদিকে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে, অন্যদিকে রাশিয়া, চীন, কাতার, ভেনেজুয়েলা, কিউবা এবং ফ্রান্সসহ অনেক দেশ এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে।