হরমুজ প্রণালী থেকে ঘুরে দাঁড়াল দুই তেলবাহী সুপারট্যাংকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২২ জুন ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইরানবিষয়ক বিমান হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই ‍উত্তেজনা বাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি রুট—হরমুজ প্রণালীতে বড় ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। হঠাৎ করেই দিক পরিবর্তন করেছে দুই বিশাল সুপারট্যাংকার, যা বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

🛢 ঘুরে দাঁড়িয়েছে দুই তেলবাহী জাহাজ

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী,

Coswisdom Lake’ ও ‘South Loyalty’ নামের দুই সুপারট্যাংকার—প্রতিটি প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বহনে সক্ষম—রোববার হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশের পর হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে ফিরে যায়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কায় রুট পরিবর্তনের প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে।

🌐 হরমুজ প্রণালীর গুরুত্ব

হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন বিশ্বে ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয়। এটি মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকার বাজারে অপরিশোধিত তেল পরিবহনের একমাত্র নিরাপদ পথ।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) একে

“বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন রুট”
হিসেবে অভিহিত করেছে।

🚨 ইরানের হুমকি ও শঙ্কা

ইরান বহুবার হুমকি দিয়েছে,

“আমাদের ওপর হামলা হলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

এই হুমকি বাস্তবায়িত হলে তা বিশ্বজুড়ে তেলের সরবরাহ ও দামে ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্য প্রতি ব্যারেল ৯৫ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং এই অনিশ্চয়তা থাকলে এটি আরও বাড়তে পারে।

🛳 নিরাপত্তা ঝুঁকি ও বিকল্প রুট ভাবনা

জাহাজ মালিক ও তেল আমদানিকারক দেশগুলো পরিস্থিতি খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এখন থেকেই বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র বিকল্প রুট বা ভিন্ন উৎস খুঁজতে শুরু করেছে। বিশেষত সৌদি আরবের পশ্চিম উপকূল, ইসরায়েল-সংযুক্ত করিডোর, এবং আফ্রিকার উপকূলীয় কিছু বন্দর সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Scroll to Top