৪০ দিন পর খুলল নগর ভবন, ধীরে ধীরে ফিরছে নাগরিক সেবা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে ভবনের প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হয় এবং ধাপে ধাপে শুরু হয় নাগরিক সেবা কার্যক্রম।

প্রায় ৪০ দিন পর এই ভবনে আবারও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনাগোনা দেখা গেছে। এর ফলে ১৪ মে থেকে চলা অচলাবস্থার একটি অংশিক অবসান হলো। তবে এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি সেবাদান কার্যক্রম।

আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে বিএনপির নেতা-কর্মী এবং ডিএসসিসির কিছু কর্মচারীরা দীর্ঘদিন নগর ভবনের কার্যক্রমে বাধা দিয়ে আসছিলেন। ২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের বিজয় বাতিল হয়ে যায় এবং ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন এই রায় অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু এখনো তাকে শপথ পড়ানো হয়নি, যার জেরে আন্দোলন শুরু হয়।

কাজ শুরু হলেও এখনো সীমিত
ডিএসসিসির দুই কর্মকর্তা জানান, সোমবার সকাল থেকে কিছু কর্মকর্তা নিজ নিজ শাখায় কাজে যোগ দিয়েছেন, তবে অনেকেই এখনো অনুপস্থিত। জনসংখ্যা নিবন্ধন, জন্ম-মৃত্যু সনদ ইত্যাদি জরুরি সেবা নিতে অনেক নাগরিক নগর ভবনে ভিড় করছেন। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এখনো সেবা পুরোদমে চালু হয়নি, তবে আগের চেয়ে পরিস্থিতি উন্নত।

নগর ভবনের ফটকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ ফটক খোলা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ভবনে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরেছে।”

প্রকৌশল বিভাগ এখনো অচল
যদিও বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে ফিরছেন, প্রকৌশল বিভাগের অফিসগুলো এখনো তালাবদ্ধ রয়েছে। এমনকি প্রশাসকের দপ্তরেও তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

আঞ্চলিক কার্যালয়েও একই চিত্র
নগর ভবনের বাইরে থাকা ডিএসসিসির ৮টি আঞ্চলিক কার্যালয়েও সোমবার থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তবে সেখানেও প্রকৌশলীদের দেখা যায়নি।

উপসংহার
সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম আংশিকভাবে চালু হওয়ায় নাগরিক সেবা কিছুটা হলেও সচল হচ্ছে। আন্দোলন পুরোপুরি শেষ না হলেও নাগরিক ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আন্দোলনকারীরা আপাতত নমনীয় হয়েছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

Scroll to Top